ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ইতিমধ্যেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয় করে ফেলেছে। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম চারে থাকার লড়াই এখনও জারি, যা ক্রমশ জমে উঠেছে। পরের মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাকি রয়েছে দুটো স্থান। আর সেই লড়াইয়ে রয়েছে পাঁচটি দল। এমন অবস্থায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-২ গোলে পরাস্ত করে প্রথম চারের দৌড়ে টিকে থাকল লিভারপুল।
ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত ছন্দে করে ইউনাইটেড। খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ব্রুনো ফার্নান্ডেজের গোলমুখী শট লিভারপুল ডিফেন্ডার ন্যাট ফিলিপ্সের পায়ে লেগে গোলে জড়িয়ে যায়। লিভারপুলের মন্থর শুরুকে কাজে লাগিয়ে ইউনাইটেড বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। ২৬ মিনিটে ফিলিপ্সকে ফাউল করায় লিভারপুল পেনাল্টি পেলেও তা ভার প্রযুক্তির সাহায্যে বাতিল করা হয়। তবে ৩৪ মিনিটে সেই ফিলিপ্সের অ্যাসিস্টেই দুরন্ত ফ্লিকে গোলে বল জড়িয়ে দেন দিয়েগো জটা। যার পরেই শুরু হয় ম্যাচে ফেরার লড়াই।
নিজের কেরিয়ারে ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে একটিও প্রিমিয়ার লিগ গোল ছিল না রবার্তো ফির্মিনোর, তবে দুই মিনিটের পার্থক্যে সেই পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। বিরতির আগে, প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লিভারপুল তারকা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের ঠিকানা লেখা ফ্রি-কিক থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন ফির্মিনো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের রক্ষণ ভাগের ভুলে ফের গোল করে লিভারপুলকে ৩-১ এগিয়ে দেন ফির্মিনোই।
চাপে পড়ে একের পর এক ভুল করতে থাকে রেড ডেভিলসের মিডফিল্ডার ফ্রেদ। অবশেষে তাঁকে তুলে নিতে বাধ্য হন ইউনাইটেড কোচ ওলে গুন্নার সোলসার। ৬৮ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় ইউনাইটেড। বারংবার আক্রমণ হানতে থাকে লিভারপুলের গোল লক্ষ্য করে। তবে মরিয়া ডিফেন্সে কোন রকমে গোলের দরজা বন্ধ করে রাখতে সক্ষম হয় লিভারপুল। অবশেষে ৯০ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে চতুর্থ গোল করে জয় সুনিশ্চিত করেন মহম্মদ সালাহ। এই জয়ের ফলে ১৭ বছরে মাত্র দ্বিতীয়বার ও সাত বছরে প্রথমবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে তাদের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে হারিয়ে তিন পয়েন্ট অর্জন করে লিভারপুল।