গত ২ বারের অর্থমন্ত্রী তিনি। তবে এবছর বিধানসভা নির্বাচনে শারীরিক অসুস্থতার জন্য লড়েননি৷ কিন্তু অমিত মিত্রের অভিজ্ঞতাকে হাতছাড়া করতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই ভোটে না লড়লেও মন্ত্রী হিসেবে এদিন ভার্চুয়ালি শপথগ্রহণ করলেন তৃণমূল সরকারের গত দু’ বারের অর্থমন্ত্রী৷ এ বারও অর্থ দফতরের গুরুদায়িত্ব অমিত মিত্রের হাতেই তুলে দিতে চলেছেন মমতা৷
বণিকসভা ফিকি-র প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল অমিত মিত্র গত দশ বছর ধরে রাজ্যের অর্থ এবং শিল্প দফতর সামলেছেন৷ জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি৷ কেন্দ্রের বিভিন্ন আর্থিক নীতি সমালোচনা করার ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের প্রধান ভরসা ছিলেন তিনিই৷ এছাড়াও, শিল্প বাণিজ্য জগতের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অমিত মিত্রকে একরকম অপরিহার্য করে তুলেছে৷ রাজ্যে বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলনের আয়োজনেও বড় দায়িত্ব থাকত অমিত মিত্রের হাতে৷
তবে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেও ছ’ মাসের মধ্যে অমিত মিত্রকে যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনতে হবে৷ যে খড়দহ কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন, এবার সেখান থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়েন কাজল সিনহা৷ কিন্তু ভোটে জিতলেও নির্বাচন মেটার কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূলের সেই জয়ী প্রার্থীর৷ ফলে ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন করতে হবে৷ তবে এই বিষয়টিকে নিয়ে খুব একটা ভাবিত নয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ে জিতে আসতে হবে৷ কারণ নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন তিনি৷ বিপুল জনমত পাওয়ার পর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত মিত্রের জন্য আসন খুঁজে বের করা নিয়ে খুব একটা চিন্তায় নেই তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এর পাশাপাশি অবশ্য বিধান পরিষদ গঠন করেও মনোনীত সদস্য হিসেবে কাউকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা যায়৷ কিন্তু সেই প্রক্রিয়া যেমন জটিল, সেরকম সম্ভাবনার কথাও শাসক দল সূত্রে শোনা যাচ্ছে না৷