মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের তৃতীয় মন্ত্রীসভা গঠিত হল সোমবার। এঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা আগেও ছিলেন আবার কেউ প্রথমবার হয়েছেন পূর্ণমন্ত্রী, কেউ আবার একেবারেই নতুন মুখ। রয়েছেন আগের মন্ত্রীসভার কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। আবার এই থার্ড ইনিংসের ‘খেলা’তে ঠাই পেয়েছেন শিউলি সাহা, বীরবাহা হাঁসদা, দিলীপ মণ্ডল, আখরুজ্জমান, অখিল গিরি, মনোজ তিওয়ারি, হুমায়ুন কবীর, শ্রীকান্ত মাহাতোর মতো বেশ কিছু নতুন মুখ।
রাজভবনে মন্ত্রীসভার শপথের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন নবনিযুক্ত সদ্যস্যদের অনেকেই। সকলের মুখেই বার বার উঠে এলো কোভিড প্রসঙ্গ। তবে একইসঙ্গে ২০২৪ এ জাতীয় ময়দানে বড় ম্যাচে ‘খেলার’ কথাও মনে করাতে ভুললেন না কেউ কেউ।
এদিনের শপথের পর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা কাজ করতে শিখেছি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রাস্তায় থেকে কাজ করাটাই আমাদের দায়িত্ব। তিনি এমন দায়িত্বই আমাদের উপর ন্যস্ত করেন’। অন্যদিকে পোড় খাওয়া রাজনীতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ভরসা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায় মমতার কথার প্রতিধ্বনি। সুব্রত বলেন, ‘এবারের আমাদের রেজাল্ট সেরার সেরা। সততা নিয়ে এবং সাহস নিয়ে কাজ করি আমরা। এবারও সেইভাবেই কাজ করব’।
২০১৬ থেকে মন্ত্রীসভায় রয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি। এদিন দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ গ্রহণের পরে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিয়ে জিতলে আনন্দ থাকে। বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাস্ত করেছে’। অন্যদিকে ভোট প্রচার থেকে নির্বাচনের দিন রীতিমতো দাবাং মেজাজে থাকা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন বলেন, ‘আমাদের আসল লক্ষ্য ২০২৪। আমরা জয় ছিনিয়ে আনব। যে সব কাজের কথা বলা হয়েছে তা দিয়েই আমাদের সরকার কাজ শুরু করবে। কোভিডে কাজ করাটাই এই মুহূর্তের মূল লক্ষ্য’। একুশের মন্ত্রীসভায় খাদ্য মন্ত্রী থেকে বনমন্ত্রী হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। ‘কোভিডই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ বললেন মন্ত্রী সুজিত বসুও। তাঁর কথায় ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বারংবার বলেছেন মানুষের পাশে থাকতে হবে। সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাবো। দায়িত্ব যখন পেয়েছি, ভালো করে কাজ করব’।