আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের পরই নিজেদের পুরোনো পদ ফিরে পেলেন বীরেন্দ্র, জাভেদ শামিমরা। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে রাজ্যের ডিজির দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হল বীরেন্দ্রকে। এছাড়া এডিজি, আইনশৃঙ্খলা পদ ফিরে পেলেন জাভেদ শামিম। পাশাপাশি, আরও রদবদলের ইঙ্গিতও এদিন দিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরের দিনই এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদ থেকে জাভেদ শামিমকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁর বদলে ওই পদে আনা হয় জগমোহনকে। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে আরও বেশ কয়েকটি রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে মোটেই খুশি ছিল না তৃণমূল। ভোটে জিতে মমতা সরাসরি কোচবিহারের এসপি-র বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগও তুলেছিলেন। শীতলকুচির ঘটনার জন্যেও পরোক্ষ ভাবে তাঁকেই দায়ী করেছিলেন মমতা। এই আবহে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে আরও রদবদল হওয়ার কথা আগেভাগেই জানিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রাজ্যে চলতে থাকা হিংসা নিয়েও সকলকে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এরকম কোনও ঘটনাই বরদাস্ত করা হবে না। যেখানে বিজেপি জিতেছে, এমন জায়গায় হিংসার ঘটনা বেশি হচ্ছে।” বিজেপির দিকে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি পুরোনো ভিডিয়ো দেখিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে এটা থামানোর আবেদন করছি।”