রবিবার, বাংলার ভোট গণনা চলাকালীন ২০০-র বেশি আসনে তৃণমূল এগিয়ে যেতেই স্পষ্ট হয়ে যায় ট্রেন্ড। আর তার পরই গোটা দেশের বিরোধী নেতারা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দেন। কেউ লেখেন ‘বাংলার বাঘিনী’, তো কেউ লেখেন ‘দিদিই পেরেছেন…’। অবশেষে শপথ নেওয়ার পর এক-এক করে সমস্ত বিরোধী নেতাদের ধন্যবাদ জানালেন তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা মমতা।
বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। এদিন বাংলার মানুষের তরফে অখিলেশকে ধন্যবাদ জানান মমতা। অখিলেশ লিখেছিলেন, ‘বাংলায় বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে হারানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের অভিনন্দন। এক মহিলাকে বিজেপির ‘দিদি ও দিদি’ বলে অপমান করার জোরাল জবাব দিয়েছে বাংলার জনতা।’
আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব একটি টুইট বার্তায় মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এ এক ঐতিহাসিক জয়। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। বিজেপির বিতর্কিত ও বিভাজনমূলক প্রচারের বিভ্রান্ত না হওয়ায় বাংলার মানুষকেও ধন্যবাদ।’ এদিন মমতা পালটা লিখেছেন, ‘বাংলা এবার ভারতকে বাঁচাতে ভোট দিয়েছে। লালুপ্রসাদ জি আপনাকে ধন্যবাদ। আপনারও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।’
এমকে স্ট্যালিনকেও তামিলনাড়ু জয়ের জন্য পাল্টা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা। ওমর আবদুল্লাকেও প্রত্ত্যুত্তরে লিখেছেন, ‘বাংলার মানুষ বিভাজনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে এবার। এখানে বরাবরের শান্তি বজায় থাকবে।’ রাহুল গান্ধীকেও ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা টুইটে লেখেন, ‘বাকি দেশকে পথ দেখাল বাংলা। বিজেপির হিংসার রাজনীতি খুব শীঘ্রই দেশ থেকে দূর হবে।’ একে-একে তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল, হেমন্ত সোরেন, নবীন পট্টনায়ক, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও।
প্রসঙ্গত, রবিবার ফল ঘোষণার শেষ দিকে মমতা প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেই বলেছিলেন, ‘গোটা দেশের নিরিখে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা মানুষের আশীর্বাদে সেই নির্বাচন জিতেছি। গোটা দেশের মানুষের জন্য এই নির্বাচন আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’ স্বাভাবিকভাবেই বিজেপিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বাংলার মসনদ নিজের দখলে রাখায় দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী নেতাদের কাছেই মমতা এখন প্রধান মুখ।