এতদিন নেপথ্যে থেকেই নানা দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তবে এবার তাঁকে সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে নামিয়েছিল তৃণমূল। স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গড় বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। ভোটে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হওয়ার পর ভাল লাগার অনুভূতি থাকলেও অনেকটাই সংযত রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর গত আড়াই মাসে রাজনীতি থেকে অনেক দূরে চলে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর কোনও বিহ্বলতাও নেই। বরং অনেক কঠোর।
বেহালা পূর্বের নবনির্বাচিত বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, আপনি বিধানসভায় যাবেন। শোভনবাবু রাজনীতি থেকে দূরে। খারাপ লাগছে? পারিবারিক দ্বন্দ্বের ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আসা রত্নার জবাব, ‘না না! খারাপ লাগবে কেন! বরং ভালই লাগছে।’ শোভনবাবুর রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়া নিয়েও রত্না কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আগ্রহও দেখাননি।
প্রসঙ্গত, যে সময় থেকে শোভনবাবু বান্ধবী বৈশাখীর টানে পৈতৃক ভিটে, সংসার ছেড়েছেন সেই সময় থেকেই বেহালা পূর্ব এলাকায় ‘মানুষের পরিষেবা’ দেওয়ার কাজ করে গিয়েছেন রত্না। তাঁর কথায়, ‘বাড়ির লোককে আমার স্বামীকে দেখেছি কাউন্সিলর, মেয়র, বিধায়ক, মন্ত্রী থাকতে। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ কী, পদ্ধতি কী– সে ব্যাপারে কিছুটা জানি।’ তাঁর দাবি, ‘হয়তো ভগবান এটাই চেয়েছিলেন। যে, আমি কিছু দিন রিহার্সাল করে নিই, তারপর বড় দায়িত্ব পাব।’