বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে একুশের মহারণ জিতে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে বড়সড় চমক দিতে চলেছেন তিনি। দলীয় সূত্রের খবর, এবারের মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ দেখতে পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে সব চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এবার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের এক বিদায়ী মন্ত্রীর কথায়, ‘এ বার যাঁরা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এমন কাউকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।’
বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী-সহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা অতিমারী এবং উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরেও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দফতরও সামলেছেন।
২০১১ ও ২০১৬ সালে পর পর দু’বার খড়দহ থেকে ভোটে জেতা অমিত মিত্র এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোটে লড়তে রাজি হননি। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক, অমিত মিত্রকে বুঝিয়ে রাজি করানো, পরে তাঁকে জিতিয়ে আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই, মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই অর্থ দপ্তর রেখে দিতে পারেন। তিন, অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। চার, অনেকে আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।