বর্তমানে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে টালমাটাল অবস্থা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের প্রথমসারির বিজ্ঞানীরা সরাসরি চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁরা লেখেন, কোভিড অতিমারীর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন দেশের বিজ্ঞানীদের যে একটি বড় অংশ, তাঁদের তরফেই এই আবেদন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা লেখেন, গত এক বছর ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তাঁরা টেস্টিং সেন্টার বাড়াবার চেষ্টা করছেন, চেষ্টা করছেন নতুন ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং সহজলভ্য টেস্টিং পদ্ধতিও গড়ে তুলতে। টেস্টিং কিট যাতে এ দেশেই উৎপাদন করা যায়, তাঁরা সেটাও ভেবেছেন। একইসঙ্গে করোনায় ব্যবহার করার মতো ওষুধপত্র এবং সেরো সার্ভের ব্যবস্থা করার কথাও ভেবেছেন তাঁরা।
এছাড়াও সাধারণ মানুষকে সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলা, তাঁদের ভ্যাকসিন নিতে উদ্দীপ্ত করা, ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁদের মনোগত দ্বিধা দূর করা এবং গুজব এড়িয়ে চলার ব্যাপারে পরামর্শও দিয়ে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু এই কাজের পরিধি বিশাল। সে কথা ভেবে ইন্ডিয়ান সায়েন্টিফিক কমিউনিটি ঠিক করেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যাপক কাজ করবে। ঠিক এই জায়গাতেই তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রার্থনা করেছেন।
তাঁদের দাবি, এই সহায়তা প্রয়োজন কেননা, এই কাজে বিপুল আকারের তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি, শুধু সংগ্রহ করাই নয়, তা কাজের সময়ে ব্যবহারও করতে হবে। এক্ষেত্রে মহামারী সংক্রান্ত বিপুল তথ্য হাতের কাছে মজুত থাকা প্রয়োজন। কী রকম তথ্য? কোভিডের প্রথম পর্ব থেকে আইসিএমআরের কাছে টেস্ট সংক্রান্ত যে ডেটা এখনও পর্যন্ত সংগৃহীত রয়েছে, তার সম্পূর্ণ তথ্য হাতে পেতে চান বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তে দেশে যে কোভিড-সঙ্কট চলছে, তাতে এর সঙ্গে ভাল ভাবে লড়তে গেলে হাতে বিপুল সংখ্যক ভাইরাল জিনোমের সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য থাকা জরুরি। সঙ্গে চাই এ দেশের মানুষের শরীরে কোভিড সংক্রমণ এবং এর টিকাকরণের ক্ষেত্রে শরীরের যে স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধী ধর্ম সক্রিয় হয়ে ওঠে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণালব্ধ ফলাফলও।