আগামীকাল রাজ্যে সপ্তম দফা নির্বাচন। ঠিক তার আগে এবার উত্তপ্ত হল খাস উত্তর কলকাতার মানিকতলা অঞ্চল। শনিবার রাতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। রাতে দুই মহিলা তৃণমূল কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে মানিকতলা বিধানসভার মুরারিপুকুর এলাকা। অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাঁদের শ্লীলতাহানি করে। যদিও শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
এই ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাতে। অভিযোগ, মুরারিপুকুর বাজারে ফল কিনতে গেলে তৃণমূলের দুই মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করেন ফল ব্যবসায়ী ও তাঁর আত্মীয়। অভিযুক্তরা বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, মিথ্যে কথা বলছে তৃণমূল। শ্লীলতাহানির ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা থানায় নালিশ জানাতে গেলে সেখানে ফের গন্ডগোল বাঁধে। উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকরা এরপর পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় রাতেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার বিকেল থেকে উত্তপ্ত ছিল মানিকতলা এলাকা। মানিকতলার ১৪নম্বর ওয়ার্ডে মুরারীপুকুরে তৃণমূলের একটি নির্বাচনী সভা ছিল। ঠিক তার পাশেই বিজেপিরও সভা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, একটি সাদা কাপড় লাগানো ছিল। তার একদিকে তৃণমূল ও অন্যদিকে বিজেপির সভা হচ্ছিল। মাত্র ৫০ ফুটের ব্যবধানে কী করে দু’টি সভার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
একদিকে যখন দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন তখন পাশে তৃণমূলের সভায় কুনাল ঘোষ, সুজাতা মন্ডল খাঁ-সহ অন্য নেতৃত্ব ছিলেন। কুনাল ঘোষের বক্তব্য, “আমাদের ছেলেরা সংযত ছিল। কোনও গণ্ডগোল করেনি।” জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা সভাস্থল থেকে তৃণমূলের লাগানো মাইক খুলে নিতে হবে পুলিশের কাছে এই দাবি করে। বিজেপি কিছু কর্মী তৃণমূলের সভাস্থলের দিকে যেতে গেলে পুলিশ আটকায়। সেই নিয়েও বচসা করে বিজেপি কর্মীরা।