যেই গতিতে গোটা দেশকে গ্রাস করছে করোনা, তাতে প্রতিটি মানুষের মনে ভয় ধরে যাওয়া স্বাভাবিক। এই মাসের শুরুতে যেখানে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ, সেখানে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে সেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে তিন লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। যা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। লাগামছাড়া সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আর ক্রমশ বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেসই বলে দিচ্ছে, কেন চতুর্দিকে অক্সিজেন এবং বেডের অভাব। ফলত রীতিমতো দেশকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আজ, রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রে, তা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু মুম্বইতেই সংক্রমিত প্রায় ৬ হাজার মানুষ। একইভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের রাজধানী দিল্লীও। কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে কেরজিওয়াল সরকার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে বলেই খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছে, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২-এ। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ২,৭৬৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১১ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১ জন। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ১১৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৫ হাজার ১১০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ মে থেকে আবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।