নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যেই ফের করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমে পড়ল রাজ্য সরকার। বুধবার মালদহে সাংবাদিক বৈঠক করে মহামারী মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের জন্য টিকা কিনতে ১০০ কোটি টাকার পৃথক তহবিল তৈরির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, রাজ্যের ভোটের জন্য ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে। কারণ, ২মে রাজ্যের নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তার আগে গণটিকাকরণ শুরু হওয়া মুশকিল।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে ৯৩ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। আরও এক কোটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হয়েছে। এই ২ কোটি ভ্যাকসিন বণ্টন করতে করতে আমরা বাজার থেকে আরও ভ্যাকসিন কেনা হবে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হচ্ছে।” ভ্যাকসিনের দামে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যেকার ফারাক নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণও শানান মমতা। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র যেখানে কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজ কিনতে পারছে ১৫০ টাকায়, সেখানে রাজ্য সরকারকে ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মমতার সাফ কথা, “ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করবেন না’। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘চাহিদা বাড়ার জন্য অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হয়েছে। তবে, আমরা সেটা দেখতে বলেছি’।
অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আশঙ্কাজনক রোগীকে ভর্তি নিতেই হবে। নিজের হাসপাতালে বেড না থাকলে অন্য হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিতে হবে। ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ৮০টা বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিতসার ব্যবস্থা করা হবে। ৭০টি করোনা হাসপাতালে বাড়ছে বেড। ২০০টি সেফ হাউস তৈরি হয়েছে। সেফ হাউসগুলিকে হাসপাতালের সঙ্গে লিঙ্ক করিয়ে দেওয়া হবে। পিজি হাসপাতালে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাউন্সেলিংও করানো হবে’।