গত মরসুমে তারা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্স। এ বারও খেতাবের অন্যতম দাবিদার। আজ, মঙ্গলবার ইরানের সেই পার্সিপোলিস এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এফসি গোয়া। যারা প্রথম বার এশিয়ার সর্বোচ্চ লিগে যোগ্যতা অর্জন করেছে। তা সত্ত্বেও স্বস্তিতে নেই পার্সিপোলিসের কোচ, ২০০৬ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ইরানের একমাত্র গোলদাতা ইয়াহা গোলমহম্মদি।
কিংবদন্তি লরা ব্লঁ-র আল রায়ানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল গোয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে এদু বেদিয়া-রা আটকে দেন আল ওয়াহাদা-কেও। তাই কাগজ-কলমে এগিয়ে থাকলেও গোয়ার দুরন্ত ফুটবলকে রীতিমতো সমীহ করছেন পার্সিপোলিস কোচ। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে গোলমহম্মদি বলেই ফেলেছেন, ‘‘গোয়া ইতিমধ্যেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। এ বারের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম চমক ওরা। আল রায়ান ও আল ওয়াহাদা-র মতো শক্তিশালী দু’টি দলকে আটকে দেওয়া কখনওই দুর্ঘটনা হতে পারে না।’’
আজ, মঙ্গলবার ফতোরদায় পার্সিপোলিসের জয়ের হ্যাটট্রিকের পথে প্রধান কাঁটা যে গোলরক্ষক ধীরজ সিংহ, তা খোলাখুলিই বলেছেন গোলমহম্মদি। তাঁর কথায়, ‘‘গোলরক্ষকই গোয়া দলের আসল তারকা।’’ বিপক্ষ কোচের প্রশংসায় যদিও উচ্ছ্বাসে ভাসতে নারাজ এফসি গোয়ার কোচ খুয়ান ফেরান্দো। গুরুত্ব দিচ্ছেন না আগের দুটি ম্যাচে কোনও গোল না খেয়ে অপরাজিত থাকার সাফল্যকেও। তাঁর পাখির চোখ পার্সিপোলিসকে হারিয়ে মাঠ ছাড়া। সাংবাদিক বৈঠকে খুয়ান বলেছেন, ‘‘গোল করাটাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই মুহূর্তে আমি পার্সিপোলিসকে নিয়েই শুধু ভাবছি। এবার প্রতিযোগিতার অন্যতম শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তাই নিজেদের খেলার আরও উন্নতি করতে হবে।’’