দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে এই মারণ ভাইরাস। প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন নজির গড়েছে ভারত। শনিবার একদিনে দেশে করোনার কবলে প্রায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ! এর মধ্যে অবস্থা সব থেকে বেশি শোচনীয় মহারাষ্ট্রে। তবে এই পরিস্থিতিতেও সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের আবেদনে সাড়াই দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এ নিয়েই তাঁকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা তথা সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
এদিন, গোটা ঘটনাটিকে দুভার্গ্যজনক আখ্যা দিয়ে তিনি টুইটে লেখেন, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে অক্সিজেন প্রয়োজন। এদিকে এই আবেদনের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় ভোটপ্রচারে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে ফেরার পর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।’ উল্লেখ্য, তৃণমূল ছাড়াও দেশের অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অতিমারি মোকাবিলার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাতে কাজের কাজ এ পর্যন্ত যে কিছু হয়নি, এর প্রমাণ মহারাষ্ট্রের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি।
সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭২৯জন। এরপরই উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্তীশগঢ় এবং কর্নাটকের স্থান। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭৯ শতাংশই এই পাঁচ রাজ্যের বাসিন্দা। এদিকে মহারাষ্ট্রে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের প্রবল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সূ্ত্রের খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি মোদীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২০০ থেকে ১৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন অবিলম্বে দরকার।