ভয়াবহ হয়ে উঠছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। আর সমানতালে বাংলাতেও ফের ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলার বাকি তিন দফা ভোট একসঙ্গে করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক করে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বাকি তিন দফা ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে যেমন প্রচার বন্ধ রাখা হচ্ছে, তেমনি সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও প্রচার করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এদিন সেই বিষয়টি নিয়েই সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন পূর্বস্থলীর সভা থেকে মমতা বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, বাকি নির্বাচন একসঙ্গে করা দাও। করল না, সময় কমিয়ে দেওয়া হল। কেন কমিয়ে দেওয়া হল? আমাদের নির্বাচনে প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া হল। তিনটি দফার নির্বাচন তো একসঙ্গে হতেই পারত। কিন্তু কমিশন সেটা করল না, এ দিকে প্রচারের সময় কমিয়ে দিল।’
এদিন আসানসোলের সভা থেকে যখন বাংলার মহিলাদের উদ্দেশ্যে একজোট হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী তখন পূর্বস্থলী থেকে মমতা পাল্টা বলেন, ‘ভোট জিতলেই এবার মহিলাদের জন্য হাত খরচা দেওয়া হবে। আমাদের রাজ্যের ছাত্রীরা কন্যাশ্রী পায়। সংখ্যালঘুদের জন্য ঐক্যশ্রী আছে। আগামী দিনে সরকার গড়লে পড়াশোনা করার জন্য ঋণ দেবে সরকার। আর সেখানে অন্য কেউ নয়, রাজ্য গ্যারান্টার হবে।’
এরপরই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘করোনা নিয়ে চিন্তা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। ইচ্ছে করে কোভিডটাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাস কোভিডের এমন পরিস্থিতি ছিল না, তখন টিকা দেয়নি। আমি কিনতে চেয়েছিলাম, তা এখনও দেয়নি। বহিরাগত গুন্ডারা এখন সব বাংলায় বসে আছে। প্রায় ১০ হাজার বাইরের লোক এসে বসে আছে, তারাই কোভিড নিয়ে এসেছে। আমাদের রাজ্যে যতটুকু কোভিড হয়েছে, তা হয়েছে ওই বহিরাগতদের জন্যই।’
এবার মূলত মহিলা ভোটের দিকেই আলাদা নজর দিয়েছেন মমতা। এদিনও মহিলাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘খেলা তো হবেই। আমার মা বোনেরা আছেন, আমিও তাই মনের জোরে আসছি। ভোটটা কিন্তু তৃণমূলকেই দেবেন। মাথায় রাখবেন, আপনার নাম যেন ভোটার তালিকায় থাকে। বিজেপি যতই বলুক, আমি এনপিআর করতে দেব না। দরকার হলে পান্তা ভাব খাবেন, কিন্তু ভোটটা অবশ্যই দেবেন। বিজেপিকে একটা একটা করে গোল দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেবেন।’