‘৪৫ বছরের বয়সসীমা কেন? সব বয়সের মানুষকেই দেওয়া হোক করোনা টিকা’। দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উঠতেই এই দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের প্রয়োজন এবং চাহিদার যুক্তিকে তোপ দেগে টুইটে রাহুল লেখেন, ‘প্রয়োজন এবং চাহিদার মধ্যকার এই বিতর্ক ভিত্তিহীন। প্রতিটি ভারতীয় নিরাপদ জীবনের সুযোগের দাবিদার।’
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখ্য সচিব বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তাদেরকে টিকা দেওয়া যাদের এটি প্রয়োজন। যাদের চাহিদা রয়েছে কিন্তু প্রয়োজন নেই, এমন ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি না।’ এর আগে আইএমএ-র তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল যাতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদেরও করোনা টিকা দেওয়া হোক। এছাড়া দিল্লীর মুখ্যন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও দাবি জানিয়েছিলেন যাতে সকলকে করোনা টিকা দেওয়া হয়।
এছাড়া সকলের জন্য টিকাকরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন এফআইসিসিআই-এর সভাপতি উদয় শঙ্করও। কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তাঁর আবেদন, ‘যেহেতু ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই এবং বেসরকারি ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে টিকাকরণের ক্ষমতাকে যে আরও বাড়ানো যায়, সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের আবেদন, ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়সি মানুষদের জন্য টিকাকরণ কর্মসূচি চালু করা হোক। এর ফলে সংক্রমণের প্রসার হ্রাস পাবে এবং দেশেও সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা হলেও কম হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এক দিনে অন্তত ১১ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করছি, অথচ জানুয়ারি মাসে আমরা এক দিনে ১৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করতে পেরেছি। পাশাপাশি দেশে আরও বেশি কোভিড পরীক্ষা করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে, ২,৪৪০টি পরীক্ষাগার রয়েছে, যার মাধ্যমে কোভিড পরীক্ষা করানো যায়। এর মধ্যে আবার বেসরকারি ক্ষেত্রেই ১,২০০-র বেশি পরীক্ষাগার রয়েছে।’