বিজেপি এত দিন বলে এসেছে, নয়া নাগরিকত্ব আইন ( সিএএ) কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। রাজ্য তাতে নাক গলাতে পারে না। বিজেপি-ই আবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ‘আমরা মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করব।’
কেন্দ্রের আইন কার্যকর করতে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে হবে কেন? প্রশ্নের মুখে বিজেপি এ বার বলছে, সিএএ কার্যকর করার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার দরকার, তাঁরা এ কথা বলেননি। তাঁরা আসলে বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে নয়া নাগরিকত্ব আইন রূপায়ণে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন, সিএএ কার্যকর করতে আবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে হবে কেন? একই প্রশ্ন আইনজীবীদেরও। তাঁদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার দরকার নেই। সংবিধানের ২৫৬-তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদে পাশ হওয়া যে কোনও আইন বা কেন্দ্রীয় আইন রাজ্যেও বলবৎ হবে।
তৃণমূলের মুখপাত্র তথা প্রবীণ আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেবের বক্তব্য, ‘নাগরিকত্ব কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত বিষয়। কেন্দ্র সংসদে নয়া নাগরিকত্ব আইন এনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছে। কেন্দ্রকেই এই আইন কার্যকর করতে হবে। এখানে রাজ্যের কোনও ভূমিকাই নেই। তিন তালাক নিষিদ্ধ করতে যে আইন হয়েছে, তা রূপায়ণ করতে কি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে হয়েছে!’