নেই চালু করার কোনও যৌক্তিকতা। অভাব অকশন করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামোরও। এই মর্মে দেওয়া মোদী সরকারের চিঠি ঘিরে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল চায়ের শহরে। ওই চিঠির জেরে বন্ধ হয়ে থাকা জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র নতুন করে চালু হওয়ার সম্ভাবনা চলে গেল বিশ বাঁও জলের নীচে। ইতিমধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন চা ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ হয়ে থাকা জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের কর্মী প্রতাপ রাউত চলতি মাসের ৬ তারিখে বন্ধ চা নিলাম কেন্দ্র চালু করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আবেদন করেছিলেন। তার উত্তর এসেছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক থেকে। সেই চিঠিতে বলা হয় এই চা নিলাম কেন্দ্রে ই-অকশন করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এবং শিলিগুড়িতে যেহেতু একটি চা নিলাম কেন্দ্র চলছে তাই কাছাকাছি আর একটি নিলাম কেন্দ্র চালু করার কোনও যৌক্তিকতা নেই। আর এতেই নতুন করে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ির চা ব্যবসায়ী মহলে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল। সে সময় হাতে হাতে নিলামের কাজ চলতো। ২০১২ সালে এই নিলাম কেন্দ্রে ই-অকশন চালু হয়। ২০১৫ সাল থেকে চা পাতার অভাবে এই চা নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। প্রতাপ রাউত বলেন, ‘আমি এই নিলাম কেন্দ্রের একজন কর্মী ছিলাম। ২০১৫ সালে নিলাম কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি কর্মহীন হয়ে পড়ি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিলাম কেন্দ্র চালু করার ব্যাপারে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু উত্তর দেখে আমার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে।’ তাঁর দাবি, চিঠিতে যা জানানো হয়েছে তা ভুল তথ্য।
নর্থ বেঙ্গল টি অকশন কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট পুরজিত বক্সিগুপ্তও বলেন, ‘এই চিঠিতে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সর্বৈব ভুল। আমাদের এখানে সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি আছে। অনুমতি দিলে ৭ দিনের মধ্যে আমরা পুনরায় এই চা নিলাম কেন্দ্র থেকে নিলাম শুরু করতে পারি।’ ঘটনায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা আজ প্রতিবাদ পত্র পাঠালাম। আমরা চাই এই নিলাম কেন্দ্র থেকে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলির কেবলমাত্র গুড়ো চা নিলাম করা হোক। যদি অবিলম্বে আমাদের দাবি মানা না হয় তবে ভোটের পর বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা।’