লোকসভায় পাস হয়ে গেল গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লী (সংশোধিত) বিল, ২০২১। এই বিল আইনে পরিণত হলে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে দিল্লীর সরকারকে সেখানকার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি নিতে হবে। যা বকলমে কেন্দ্রের মোদী সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সামিল বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টির। এই বিল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে দিল্লীর শাসক দল আম আদমি পার্টি। বিল লোকসভায় পাস হওয়ার পর কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
বিল নিয়ে মোদী সরকারের দাবি, এতে দিল্লীর মানুষেরই উপকার হবে। দিল্লী পরিচলনার ক্ষেত্রে জটিলতা অনেক কমবে। দিল্লী আরও বেশি স্বনির্ভর হবে। কিন্তু এই যুক্তি প্রথম থেকেই খারিজ করে এসেছে আম আদমি পার্টি। আপের দাবি, এর ফলে দিল্লীর রাজ্য সরকারের হাত থেকে কার্যত সব ক্ষমতা কেন্দ্র নিজের হাতে নিতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদিও এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসাবে না দেখতে আবেদন করেছে তবে তাতে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষোভ কমছে না। লোকসভার পর এই বিল এবার যাবে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়।
লোকসভায় বিল পাস হওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে অভিযোগ করেন, ‘এই বিল দিল্লীর মানুষের প্রতি অপমান। এই বিলের ফলে দিল্লীর নির্বাচিত সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতা তাদের হাতে যাচ্ছে যাদের মানুষ ভোট দিয়ে হারিয়েছিলেন। বিজেপি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করল’।
দিল্লীর গত বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টির কাছে পরাস্ত হয় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। ৭০ আসনের দিল্লী বিধানসভার ৬২টি আসনে জয় লাভ করে আম আদমি পার্টি। মাত্র ৩টি আসেন জয় লাভ করে বিজেপি। এই বিলের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখান ১৫ জন আপ বিধায়ক। কিন্তু সেই বিক্ষোভ কার্যত কোনও কাজে লাগল না। নতুন এই বিল আইনে পরিণত হলে দিল্লীর শাসন ক্ষমতা বকলমে দিল্লীর বিজেপি সরকারের হাতে চলে যাবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।