মঙ্গলবার সকালেই নিজেদের শেষদফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। কেশপুরের সভা থেকে সেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন তৃণমূলেন যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘মানুষ বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। পাছে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় বিজেপি। দিল্লীতে গিয়ে দলে যোগ দিইয়ে ধরে বেঁধে প্রার্থী না করে দেয়’।
এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি তো প্রার্থী হওয়ার লোকই পাচ্ছে না। হাপিত্যেশ করে বসে থাকছে। কবে কেউ তৃণমূল থেকে বেরবে তাঁকে জোর করে প্রার্থী করে দেবে। ইস্তাহারেও তো তৃণমূলকে টুকে দিয়েছে। সভাও ভরাতে পারে না’। তুলে আনেন গোসাবায় শাহের সভায় খেলা হবে গান বাজার প্রসঙ্গও। বললেন, ‘ইস্তেহার টুকেও শান্তি হয়নি। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাতেও ‘খেলা হবে’. কন্যাশ্রী গান বাজল। কী অবস্থা ভেবে দেখুন’! ইস্তেহার নিয়ে এদিনের সভা থেকেও বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন অভিষেক। তাঁর কটাক্ষ, ‘মমতারইস্তেহার হাই কোয়ালিটির ভিডিও। যা চোখে দেখা যায়। আর বিজেপির ইস্তাহার তো অডিও। শুধু শোনা যায়। এবার মানুষ সিদ্ধান্ত নিক তাঁরা এইচডি ভিডিও নাকি অডিও চান’? তৃণমূল নেতার আরও কটাক্ষ, ‘বাংলায় ইস্তাহার প্রকাশ করারও লোক পাচ্ছে না বিজেপি। তাই দিল্লী থেকে, মধ্যপ্রদেশ থেকে, গুজরাত থেকে লোক আনতে হচ্ছে বিজেপিকে। যাঁরা এক লাইনও বাংলা পড়তে পারেন না। তাঁরা নাকি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন’?
রাজ্যে তৃণমূল আড়াই শো-র বেশি আসন পাবে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভাস্থলের ভিড় দেখে তিনি বলেন, ‘এই ভিড় বলে দিচ্ছে তৃণমূল আড়াই শো পার। আর বিজেপি ২০০ মে হার’। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে অভিষেকের বার্তা, ‘বড় ফুলের থেকে টাকা নিন, কিন্তু ভোট দিন ছোট ফুলে’। বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, ‘কেশপুরই হবে বিজেপির শেষপুর’।