২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সভা-মিছিলগুলিতে দেখা গিয়েছিল জনতার ঢল। যার ফলে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয় তারা। কিন্তু সেই ছবিটা আর দেখা যাচ্ছে না এখন। বরং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই ফিকে হচ্ছে গেরুয়া ক্রেজ। আমজনতার সমর্থন হারাচ্ছে বিজেপি। যার ফলে শাহ-নাড্ডা-যোগীর মতো একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতার সভা যেমন সুপারডুপার ফ্লপ হচ্ছে বাংলার বুকে। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে ‘গো-ব্যাক’ ধ্বনি উঠল।সোনাচূড়ায়।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে থেকেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ অশান্ত হয়ে উঠেছিল। তিনি সভায় এ নিয়ে নিন্দা করার পর সভা ছাড়তেই সেই অশান্তির আঁচ আরও বাড়ে। স্লোগান, পালটা স্লোগানের পর দু’পক্ষের সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। তা এতটাই চরমে ওঠে যে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হওয়ার পাশাপাশি মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন দু’জন। তাঁদের নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এ নিয়ে দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সোনাচূড়া।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সভা ঘিরে অশান্তি নতুন কিছু নয়। তাঁর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে এর আগে একাধিকবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে ভোট ঘোষণার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের হাতে। একুশের ভোট সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণভাবে করাটা কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারাই এলাকায় আইনশৃঙ্খলার দিকটি নজরে রাখছে। কিন্তু তারপরেও ভোটের ঠিক মুখে রাজ্যের যে কোনও জায়গায় এ হেন বড়সড় গণ্ডগোল বেধে যাওয়াটা অপ্রত্যাশিত।