২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে ও স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে ওশিওয়াড়া পুলিশ থানায় ধর্ষণ, প্রতারণা ও জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। দেশের নানা মিডিয়া সংস্থা এই খবরটি ফলাও করে প্রকাশও করেছিল। তাই ছেলে এবং বউকে বাঁচাতেই মহাগুরু বিজেপিতে যোগ দিলেন কিনা এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে আমবাঙালির মুখেমুখে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও কোনও মন্তব্য না করলেও দলের বাকি নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়েনি। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় সাফ জানান যে একসময়ের নকশালদের সঙ্গে যুক্ত থাকা মিঠুন চক্রবর্তী এখন বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু অভিনেতা কোনও দিনই বাংলার জন্য কিছু করেননি।
তৃণমূল নেতার কথায়, ‘ওঁরা সকলেই বাংলাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেন। মিঠুন কোন কাজটা করছে বাংলার জন্য? উনি তো মুম্বইয়ে থাকেন, সেখানে অভিনয় করেন। তাঁর থেকে বাংলার জন্য কিছু ভাবা বা বলা আশা করা যায় না। উনি নকশাল আন্দোলন দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন আর শেষ করলেন বিজেপিতে যোগ দিয়ে। রাজনৈতিক জীবনের চক্রটি শেষ করলেন আর কি।’ উল্লেখ্য, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেতা মিঠুন তাঁর অভিনয় জীবনের আগে ১৯৬০ এর দশকে নকশাল আন্দোলনের অংশ ছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। মমতার দল তাঁকে রাজ্যসভার সদস্যও করে। যদিও তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্যের চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর রাজনীতি থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন অভিনেতা। তবে রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।