গলা কখনও খাদে। কখনও চড়ায়। দু’হাতে কখনও হাজারো মুদ্রা। কখনও আঙুল ওঁচানো। কখনও আবার দু’হাত জড়ো। কখনও হাত সপরে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিমা। কখনও হাতে হাতে তালি। কখনও বাজাচ্ছেন পোডিয়ামের পিঠ।এভাবেই নানা ভঙ্গিমায় সভা মঞ্চ থেকে ভাষণের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখন ব্রিগেড ছেড়ে আগত দর্শকরা চলে যাচ্ছেন যে যার গন্তব্যে। রবিবারের ময়দান এবং সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেল এমনই নানা চিত্র। এছাড়া, ধরা পড়েছে মদ্যপান ও নেশার ছবিও। কোথাও পাশাপাশি রাখা বাসের ছায়ায় বসে দেদার নেশার আসর চলেছে বলে অভিযোগ। কোথাও ব্যানার খুলে দু’টি বাসের মধ্যে বেঁধে দিয়ে চলেছিল তাসের আড্ডা। খেলার আসরেই কয়েক জন আবার বাজি ধরলেন রাজ্য-রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
এর সঙ্গেই চলেছে দেদার শব্দ-তাণ্ডবও। দেখা গিয়েছে, একাধিক লরিতে লাগানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাউন্ড বক্স। সভা চলাকালীন ময়দান চত্বরে লরি দাঁড় করিয়ে সেই বক্স বাজিয়েই অনেককে দেখা গিয়েছে গানের তালে কোমর দোলাতে। বেশ কিছু বাসের মাথাতেও লাগানো হয়েছিল বক্স। আর তাতে কখনও বাজলো তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ কখনও বামেদের ‘টুম্পা সোনা’। বিকেলের পরে আবার ইতিউতি পড়ে থাকতে দেখা গেল, খাবারের উচ্ছিষ্ট, পানীয়ের বোতল, প্লাস্টিকের গ্লাস। যা দেখে বোঝার উপায় রইল না, বাসে করে এসেছে কোনও রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে আসা জনতা, নাকি অকাল পিকনিকে? মেদিনীপুর থেকে আসা এক ব্যক্তি আবার বলেই দিলেন, ‘এই সব দিনে কলকাতা ঘোরাও হয়, বিনা পয়সায় খানা-পিনাও হয়। সকালে বাস ছাড়ার সময়ে ডিম-পাউরুটি পেয়েছি। এখানে এসেই মাংস-ভাত। এর পরে জলের ব্যবস্থাও ছিল। রাতে গ্রামে বসিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ানোর কথা রয়েছে।’