গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালির মাঠে দলীয় সভা থেকে তাঁর ওই লাকি জায়গায় নিজে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই দলনেত্রীর নামে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছিলেন উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কর্মীরা। শুক্রবার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই সেই উৎসাহ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই সঙ্গে সঙ্গে তা মঞ্জুর করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। যার জেরে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম জুড়ে জমজমাট তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রচার। দেওয়ালে দেওয়ালে ছয়লাপ ‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিন’। পতাকা, ফেস্টুনে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা নন্দীগ্রাম এলাকা।
উল্লেখ্য, অতীতে তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা বলেন মমতা। সেই মতো নন্দীগ্রাম থেকেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতার মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পান শুভেন্দু। কিন্তু সে সময়ের মমতার বিশ্বস্ত সৈনিক এখন দলবদল করে বিজেপিতে। তাই এবার আর কারুর ওপর দায়িত্ব না ছেড়ে স্বয়ং নেত্রী নিজেই এবার দাঁড়াচ্ছেন নন্দীগ্রাম থেকে। আর তাঁর দাঁড়ানোর কথা আগে থেকে কর্মীরা জেনে যাওয়ায় জোর কদমে লেগে পড়েছেন ভোট প্রচারে। সকালে সূর্য ওঠা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে ভোট প্রচার। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ দেওয়াল লিখনের কাজ শেষ।
এদিক, ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা বেশ কয়েকবার নন্দীগ্রামে এসে স্থানীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। দফায় দফায় এসেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। প্রচারের কৌশল বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশমতো ইতিমধ্যে কর্মী-সমর্থকরা ময়দানে নেমে পড়েছেন। আবার গত শনিবারই নন্দীগ্রামে এসে মমতার নামে পুজো দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম এক ব্লকে তিনটি কর্মীসভা করে গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার আগেই ইতিমধ্যে নিজেদের মাঠ তৈরি করে ফেলেছে তৃণমূল।