দুটি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিলেন ইউসুফ পাঠান। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার রবিবারই নেটমাধ্যমে নিজের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। ২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন তিনি। ইউসুফ সম্পর্কে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের দাদা। প্রসঙ্গত, ইরফান আগেই অবসর নিয়েছেন। এদিন দাদার অবসরগ্রহণের পর ইরফান লেখেন, “তুমি চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার ছিলেন ভাই। বোলাররা তোমাকে ভয় পেত।”
গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় দলে একেবারেই দেখা যায়নি ইউসুফকে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন বরোদার হয়ে। দেশের হয়ে একটাও টেস্ট খেলেননি। তবে ৫৭টি একদিনের ম্যাচ খেলে ৮১০ রান করেছেন, যার মধ্যে দুটি শতরান এবং তিনটি অর্ধশতরান রয়েছে। বল হাতে নিয়েছেন ৩৩টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের হয়ে খেলেছেন ২২টি ম্যাচ। ২৩৬ রানের পাশাপাশি ১৩টি উইকেট রয়েছে তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০টি ম্যাচ খেলেছেন ইউসুফ। ৪৮২৫ রান করেছেন। প্রাপ্ত উইকেটসংখ্যা ২০১টি।
উল্লেখ্য, আইপিএলের প্রথম মরসুমের চ্যাম্পিয়ন দল রাজস্থান রয়্যালসের সদস্য ছিলেন তিনি। এর পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও ২০১২ এবং ২০১৪ সালে আইপিএল খেতাব জিতেছেন ইউসুফ। এদিন বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, “সারাজীবন ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমার পরিবার, বন্ধু, সমর্থক, দল, কোচ এবং সমস্ত ভারতবাসীকে ধন্যবাদ। আমার জীবনের এই ইনিংসে এ বার দাঁড়ি বসানোর সময় এসে গিয়েছে। সমস্ত ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা এবং সচিন তেণ্ডুলকরকে কাঁধে তোলা আমার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।” প্রসঙ্গত, বিগত ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ বার ভারতের হয়ে একদিনের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল ইউসুফকে।