২০২০-২১ সালে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশে মোট জাতীয় উৎপাদন কী হারে বিকশিত হয়েছে, তা জানা যাবে শুক্রবার। বাজার বন্ধ হলে জিডিপি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আনবে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস।অনেকেরই আশা, পরপর দু’টি ত্রৈমাসিকে সংকুচিত হওয়ার পরে ফের বিকাশের পথে ফিরবে জিডিপি। তার আগে এদিন বাজার খোলার পরেই নামতে শুরু করেছে সেনসেক্স ও নিফটি। বৃহস্পতিবার আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ার সূচকের পতন ঘটেছে। তার জেরে এশিয়ার প্রায় সব দেশেই নামছে সূচক।
এদিন বেলা ন’টা বেজে ১৮ মিনিটে সেনসেক্স নেমে যায় ৫০,১৮৪.৬০ এর ঘরে। তার পতন হয় ৮৪০.৩৫ পয়েন্ট বা ১.৬৮ শতাংশ। নিফটিও ২৮৩.৪৫ পয়েন্ট নেমে ১৪৮৩৫.৪৫ এর ঘরে পৌঁছায়। শুক্রবার জানা যায়, ওয়াল স্ট্রিটে প্রধান সূচকগুলি অনেকটা নেমে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ শেয়ার সূচকের পতন হয়েছে দুই শতাংশ। গত ২৮শে জানুয়ারির পরে ওই সূচকের আর এত পতন হয়নি। জাপানের নিক্কির পতন হয়েছে ২২৫ পয়েন্ট বা ১.৮ শতাংশ। হংকং-এর হ্যাং সেং সূচকের পতন হয়েছে ১.৬৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ছিল আগের দিনের চেয়ে ৫৫৯.৮৪ পয়েন্ট বা ১.৭৫ শতাংশ নিচুতে। এস অ্যান্ড পি ৫০০-র পতন হয়েছে ৯৬.০৯ পয়েন্ট বা ২.৪৫ শতাংশ। ন্যাসডাক কম্পোজিটের পতন হয়েছে ৪৭৮.৫৪ পয়েন্ট বা ৩.৫২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটে নাসডাক সূচকের পতন হয়েছে চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সামগ্রিকভাবে শেয়ার সূচকের পতন হলেও ভারতে কোল ইন্ডিয়ার শেয়ারের দাম এদিন বেড়েছে। সেনসেক্সে নথিভুক্ত শেয়ারগুলির মধ্যে অন্যতম কোল ইন্ডিয়ার শেয়ারের দাম এদিন বেড়েছে ২.১ শতাংশ। সেনসেক্সে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মধ্যে বিপিসিএল, আইওসি, মারুতি সুজুকি এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের শেয়ারের দাম কমেছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত ২১৫৪ টি শেয়ারের মধ্যে ৮১০ টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১২৬৯ টির দাম। ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থাগুলির মধ্যে বেশিরভাগের শেয়ারের দর কমেছে। ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ও এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দর কমেছে ২.৫ থেকে ৩.৯ শতাংশ। পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা সংস্থার শেয়ারের দামও এদিন কমেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে টাটা মোটর্স, এম অ্যান্ড এম ও হিরো মোটোকর্প।