তৎপরতার সঙ্গে এবার তিন রাজ্যে তশ্লাশি চালাল পুলিশ। কোকেন কাণ্ডে পামেলা-রাকেশ ছাড়া কে বা কারা জড়িত, কারা বিজেপি নেতা-নেত্রীর কাছে পৌঁছে দিত মাদক, এমন সন্ধানের মূলকেন্দ্রে পৌঁছোতে ইতিমধ্যেই ১২ জনকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। শীঘ্রই পুলিশি জেরার সম্মুখীন হতে হবে আরও ১২ জনকে। তাঁদের মধ্যে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন বলে অনুমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোকেন কাণ্ডের রহস্যভেদ করতে বাংলার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিশেষ কিছু এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করা হয়েছে। এর থেকেই কোকেন কোথা থেকে আসত, কীভাবে তা পৌঁছত বাংলায়, তা জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পামেলা বারবার তাঁর ব্যাগে মাদক রাখার অভিযোগ তুলেছেন অমৃত নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁর খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, তাঁকে নাগালে পেলে অনেক জিজ্ঞাসারই উত্তর মিলবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় কোকেন। আদালতে তোলার সময় বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন তিনি। পরবর্তী কালে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় রাকেশকেও। এদিকে পামেলা গোস্বামীকে গ্রেপ্তারের পরই তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সেখানেই মিলেছে একটি অডিও ক্লিপ ও বেশ কয়েকটি মেসেজ। তা থেকেই কোকেন কাণ্ডে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। প্রকাশ্যে আসে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নামও। যদিও বৃহস্পতিবার পামেলা দাবি করেছেন, রাকেশ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। তবে তালিকাভুক্ত ২৪ জনকে জেরা করলেই গোটা ছবিটা স্পষ্ট হবে, এমনটাই ধারণা তদন্তকারীদের।