অবিলম্বে জ্বালানি ও গ্যাসের দাম না কমলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। বৃহস্পতিবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শক্তিকান্ত দাশ। বম্বে চেম্বার অফ কমার্সের ১৮৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয় বৃহস্পতিবার। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর। সেই বক্তব্যে তিনি জ্বালানি এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ও গ্যাসের দামবৃদ্ধি ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কেন্দ্র-রাজ্যের উচিত সমন্বয় রেখে মূল্যহ্রাসে পদক্ষেপ নেওয়া।’
তাঁর পরামর্শ, ‘ধাপে ধাপে বসানো কর কমালেই কিছুটা হ্রাস পাবে মূল্য। যেহেতু জ্বালানির ওপর কেন্দ্র ও রাজ্যের দুয়ের কর বসানো। তাই দু’জনকে সমন্বয় রাখতে হবে।’ তাঁর মত, ‘করোনা আবহে যে ভাবে কোষাগারে চাপ পড়েছে, সেখান থেকে আয়ের মুখ দেখা প্রয়োজন। কেন্দ্র-রাজ্যের সরকারের সেই বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু এভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হলে মুদ্রাস্ফীতি হবে। প্রভাবিত হবে উৎপাদন শিল্প।’ তাঁর আশা, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরোতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে ভারত। আগামী দু’বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে ভারতীয় অর্থনীতি।’
এদিকে, লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি হচ্ছে রান্নার গ্যাসের। চলতি মাসেই পর পর তিন দফায় দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের। দু’সপ্তাহ আগেই এক লাফে বেড়েছিল ২৫ টাকা। বুধবার রাত থেকে এক লাফে আরও ২৫ টাকা দাম বাড়ল সিলিন্ডারের। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেই রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল মোট ১০০ টাকা। ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় বেড়ে চলতি মাসেই সিলিন্ডারপিছু ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম হয় ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ফলে ভর্তুকিহীন ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয় ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। আগে যার দাম ছিল ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকা বাড়ে রান্নার গ্যাসের দাম। ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম হয় ৭৯৫ টাকা ৫০ পয়সা।