বাংলার, আসাম, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কেরালাতেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। এবার সেখানে মৎস্যজীবীদের অভাব-অভিযোগ শুনতে একেবারে জলেই নেমে পড়লেন রাহুল গান্ধী।
বুধবার সকালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মৎস্যজীবীদের অভাব-দৈন্যতার কথা শুনতে কোল্লামের থাঙ্গাসেরি বিচে গিয়েছিলেন রাহুল। প্রথমে মৎস্যজীবীদের বোটে উঠে সমুদ্রে মাছ ধরতে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁদের সঙ্গে মাছ ধরতে বেশ কয়েকবার জালও ফেলেন। আর এরপরই কাউকে কিছু না বলে মৎস্যজীবীদের মতোই নৌকা থেকে জলে লাফ দেন সোনিয়া পুত্র।
সমুদ্রের জলে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে ভেসে ভেসে কথা বলেন তিনি। পোশাক না পাল্টেই একেবারে জলে নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর পরনে ছিল খাঁকি প্যান্ট ও নীল টি-শার্ট। এভাবে ১০ মিনিট জেলেদের সঙ্গে জলে কাটানোর পর উপরে উঠে আসেন রাহুল। পরে জেলে নৌকায় রুটি এবং তাজা মাছের ঝোলও খান তিনি।
এদিন রাহুল বলেন, ‘আমি মৎস্যজীবীদের কাজ এবং পরিশ্রমকে শ্রদ্ধা করি।’ একই সঙ্গে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি মৎস্যজীবীদের আশ্বস্ত করে বলেন, কংগ্রেস মৎসজীবীদের চাহিদা-প্রয়োজনীয়তাকে নির্বাচনী ইস্তেহারে অন্তর্ভুক্ত করবে।
উল্লেখ্য, এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল, কেরালার কংগ্রেস নেতা টিএন প্রথাপন সহ অন্যান্য নেতারা। ছিল রাহুলের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরাও। কিন্তু এঁদের কাউকে কিছু না বলেই জলে ঝাঁপ দেন রাহুল। কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, রাহুল যে এভাবে জলে নেমে পড়বেন তা কারোরই জানা ছিল না। হয়তো হঠাৎ করেই এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।