পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বেনজির প্রতিবাদের পর কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কটাক্ষ করে বললেন, দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে মোদী সরকার। কবে হয়ত দেশের নামটাও বদলে দেবে। মোদী সরকার যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে এবং এখনকার দামের মধ্যে বিরাট ফারাক, এটা একটা বড়সড় ভাঁওতা। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী দিনে তৃণমূল আরও কর্মসূচি নেবে বলে জানিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে গোটা দেশে অন্যান্য বিরোধীদেরও রাস্তায় নামতে অনুরোধ করেন মমতা।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গাড়ির পরিবর্তে এদিন হাজরা থেকে ইলেক্ট্রিক স্কুটারে নবান্ন পর্যন্ত যান মমতা। গাড়ির বদলে বাড়ি থেকে হেঁটে হাজরা মোড় আসেন তিনি। সেখান থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে নবান্নে যান। চালকের আসনে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নবান্নে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে পেট্রলের দাম, ডিজেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়েছে, আমরা তার প্রতিবাদ করছি। একটা গ্যাস সিলিন্ডার ৮০০ টাকা হয়ে গিয়েছে, গতকাল রাতে আবার দাম বেড়েছে। এখন কেরোসিন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। আমার রাজ্যের ১ কোটি মানুষ কেরোসিনে রান্না করেন। তাঁরা রান্না করার জন্য কেরোসিন পাচ্ছেন না। পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়লে রান্নাঘরেও আগুন লাগে। সাধারণ মানুষকে সেজন্য ভুগতে হয়।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কৃষকদের কথা ভেবে ডিজেলের দাম বাড়ত না। এখন এঁরা কৃষকদের পর্যন্ত রেয়াত করছে না।’
এরপরই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘মোদী সরকার যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে এবং এখনকার দামের মধ্যে ফারাক দেখুন। এর মধ্যে একটা বিরাট ভাঁওতা আছে। এবং সাধারণ মানুষের পকেট কাটা আছে। গ্যাস তো দিচ্ছেনই না, উলটে গ্যাস খাওয়াচ্ছেন। পুরো দেশটাকে মোদী সরকার বেচে দিচ্ছে। এই সরকার জনবিরোধী সরকার, কৃষক বিরোধী সরকার, শ্রমিক বিরোধী সরকার, যুব সমাজ বিরোধী সরকার, মহিলা বিরোধী সরকার।’ তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী দিনে আমাদের তৃণমূলের কর্মসূচি চলছে, চলবে। আমি গোটা দেশে সবাইকে রাস্তায় নামতে বলছি।’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নবান্ন থেকে ফেরার পথেও তিনি একইভাবে স্কুটারে ফিরবেন।