রাজ্যের আগের বাম সরকারের আমলে ‘হরিণঘাটা মিট’ ব্র্যান্ডের ব্যবসা রীতিমত ধুঁকছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসতেই সেদিকে নজর দেন। আর সেই ব্র্যান্ডের ব্যবসার পরিমাণ চলতি বছরেই ৫০ কোটি টাকা ছাড়াল। প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন নিগমের এই মিট শপে ব্যাপক বিক্রির পাশাপাশি অনেক বেকারের কর্মসংস্থানও হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি চালু হওয়া ‘হরিণঘাটা ফিশ’ ব্র্যান্ডেরও জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে।
এই ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এখন প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন নিগমের ‘হরিণঘাটা মিট’ ব্র্যান্ডের ব্যবসা বাড়ায় কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে আয় হচ্ছে। যার ফলে এই দফতরের হাত ধরে রাজ্যের বহু বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। ২০১১ সালের পর থেকেই এই ব্র্যান্ডের আয় বেড়েছে। বাম আমলে এটি ধুঁকছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় দফতরটির বিকাশ ঘটেছে।
দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে হরিণঘাটার তৎকালীন করযুক্ত ব্যবসার পরিমাণ ছিল ২৬ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয় ৩৩ কোটি টাকা হয়। আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ব্যবসার পরিমাণ ৫০কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ২০১০-১১ আর্থিক বছরে নিগমের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল মাত্র পাঁচটি। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৫০১ টি। বুধবার কাটোয়া শহরেও নতুন একটি হরিণঘাটা মিট শপের সূচনা করেন মন্ত্রী। এতে শহরে মাংসের চাহিদা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হরিণঘাটা মিট শপ থেকে মুরগি, খাসি থেকে শুরু করে টার্কি, কোয়েল প্রভৃতি প্যাকেটজাত মাংস সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।