প্রায় দোরগোড়ায় ভোটের লড়াই। তবে বাংলার বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি। কিন্তু প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবারই বিভিন্ন জেলায় ভোটকর্মীদের প্রথম দফার ট্রেনিং রয়েছে। এর মধ্যেই নির্বাচনের ডিউটি থেকে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করল সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন।
এপ্রসঙ্গে সেই সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, “বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সিঙ্গেল ক্যাডার পোস্ট। সেইসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, শিক্ষা-সহ সমস্ত ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকারা। ফলে তাঁদেরকে ভোটের ডিউটি দিলে একদিকে যেমন বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা হয়, তেমন যে সমস্ত স্কুলে পোলিং স্টেশন, সেক্টর অফিস হয় সেখানেও নানান সমস্যা দেখা দেয়।”
এছাড়াও চন্দনবাবু আরও বলেন, “বেতন কাঠামো অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব বন্টনের নিয়মও মানা হয়নি। অনেক প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাকে ফার্স্ট পোলিং এমনকি সেকেন্ড পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বহু আগে থেকে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে বারবার বলেছেন তাঁরা, এমনই জানিয়েছেন চন্দন মাইতি। কমিশন সেই সময়ে মৌখিক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন এই পিটিশন গ্রহণ করেছে আদালত। আগামী ১লা মার্চ মামলাটি বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে সম্ভাবনা রয়েছে শুনানির।