‘আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি ছেলেমেয়েকে কাজ দেব আমরা। বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমিয়েছে তৃণমূল সরকার।’ বুধবার সাহাগঞ্জের জনসভা থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে শিল্প নেই বারবার অভিযোগ করছে বিজেপি। এদিন তার জবাব দিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে অনেক শিল্প হচ্ছে। এখানেও (হুগলী) নতুন শিল্প হচ্ছে। যেখানে ৬০০ লোক কাজ পাবেন। ওঁরা আমাকে উদ্বোধন করতে বলেছিল কিন্তু আমার সময় হল না। আর এটা দলীয় অনুষ্ঠান সেখান থেকে উদ্বোধন করব না।’ মমতা আরও বলেন, ‘এখানে হ্যান্ডলুম, প্লাস্টিক ক্লাস্টার হয়েছে। বহু মানুষ কাজ করছে। সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো শিল্প তৈরি হচ্ছে। সেখানে চাষও হচ্ছে। আবার শিল্প হলে কাজও পাবে। ডানকুনির টোল প্লাজার কাছে কারখানা আমি তৈরি করেছি। এর পরেই কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা করেন মমতা, ‘আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি ছেলেমেয়েকে কাজ দেব আমরা। বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমিয়েছি আমরা। নতুন গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ হয়েছে। এ ছাড়া গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি। ডানকুনি থেকে শুরু করে রেললাইন ধরে শিল্প হতে হতে যাবে। বাংলা ১০০ দিনের কাজে ১ নম্বর। এমএসএমই-তে ভাল কাজ করছে। আমরা বলি আর করি। এরা কিছু করে না শুধু মিথ্যা কথা বলে।’
মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘২০১৪ সালে বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। ক’জন পেয়েছেন সেই টাকা। আর এখন টাকা দিয়ে এলে কী করবেন? বাংলাকে বাইরে থেকে গুন্ডা এনে ভরিয়ে দেবে। রাজ্যটাকে বিক্রি করে দেবে। আপনারা বলুন, কোনটা চাই। ভাল করে শুনে রাখ। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে। এক একটা লুটেরা। কারও কান কাটা, কারও নাক কাটা, কারও চোখ কাটা, কারও পা কাটা। দুর্গাপুরে একটা হোটেল বুক করেছে। ওই হোটেল কোন কোল মাফিয়ার জিজ্ঞেস করুন।’ আগামী দিনের পরিকল্পনা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘প্রত্যেক বিধবাকে ৬০ বছর বয়সের পরে মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেব। আগামী দিনে আমাদের ৪৫ লক্ষ শ্রমিক, যাঁরা সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আছেন, তাঁদেরও ১০০০ টাকা করে দেব।’