নির্বাচনের আগেই গোটা রাজ্যে করোনার গণ টিকাকরণের কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন৷ বিনামূল্যে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে চায় রাজ্য সরকার। সেই কারণেই বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন কোথা থেকে কিনতে পাওয়া যাবে তা যেন কেন্দ্র রাজ্যকে জানায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে এই কথা জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, যেহেতু রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে, তাই সবার আগে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মী এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের অবিলম্বে টিকা দেওয়া প্রয়োজন৷ যেহেতু ভোট দিতে অসংখ্য মানুষ বুথে যাবেন, তাই তার আগে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের মনে হয় বেশি সংখ্যক ভোটারকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন৷ যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকলের ঝুঁকি কমে৷’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে অনুরোধ করেছেন, গণ টিকাকরণের কাজ শুরু করার জন্য রাজ্য সরকার বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন কিনতে চায়৷ তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যাতে রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন কিনতে পারে সেই বিষয়টি দেখার জন্যও প্রধামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
অন্যদিকে একেবারে উল্টো রূপ দেখা গেল মোদী সরকারের। যেখানে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের ঘোষণা বহাল রাখছে, সেখানেই এবার টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিল, ‘বেসরকারি হাসপাতালে টাকা দিয়ে মিলবে ভ্যাকসিন। সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। ১০ হাজার সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন। ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন। বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের কত দাম? ভ্যাকসিনের দাম ২-১ দিনেই ঠিক করবে সরকার। ১ মার্চ থেকে বেসরকারি হাসপাতালে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে হলেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। কোমর্বিডিটি থাকলে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন।’