হুগলির সাহাগঞ্জে বন্ধ ডানলপ কারখানার মাঠে সোমবার বিকেলে সভা করেন মোদী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান রাজ্য সরকার বাংলার মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত মনীষীদের স্মৃতিরক্ষার্থে কিছুই করেনি। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বন্দেমাতরম ভবনের কথা তোলেন। বলেন, যেখানে বঙ্কিমচন্দ্র পাঁচ বছর ছিলেন, সেই ভবন খুব খারাপ অবস্থায় আছে। মোদীর কথায়, ‘‘সেই বন্দেমাতরম, যা স্বাধীনতার লড়াইতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নতুন শক্তি জুগিয়েছিল। মাতৃভূমিকে সুজলা, সুফলা করতে প্রত্যেক দেশবাসীকে প্রেরণা জুগিয়েছিল। বন্দেমাতরম শব্দ গোলামির নিরাশায় বেঁচে থাকা দেশকে নতুন চেতনা এনে দিয়েছিল।’’
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এ ক্ষেত্রেও মোদীর লক্ষ্য তৃণমূল পরিচালিত সরকার। তবে মোদীর এই বক্তব্য নিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বন্দেমাতরম ভবন এক সময়ে সত্যিই অনাদরে পড়েছিল। তবে বর্তমান সরকার এই ভবনটিকে নতুন করে সাজিয়েছে। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, স্থানীয় হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা ওই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ জন্য তিন জন কেয়ারটেকার রাখা হয়েছে পুরসভার তরফে। তাঁরা তিনটি শিফটে এই ভবনে থাকেন। ‘হুগলি-চুঁচুড়া আর্ট ফোরাম’কে ভবনের একটি ঘর ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এখানে তারা সংস্কৃতি চর্চা করে।
এরপর মোদীকে একহাত নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর তো জেনেবুঝে কথা বলা উচিত। উনি নিজের বুদ্ধিতে বলেন না। ওঁকে যাঁরা বুদ্ধি দিচ্ছেন, তাঁরা একেবারে অপদার্থের দল।’’ অসিতের কটাক্ষ, ‘‘এত কাছে যখন এলেন, এক বার সেখানে ঘুরে যেতে পারলেন না! তাহলেই তো আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়ে যেত।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশেরও বক্তব্য, ওই ভবনের অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভাল। তবে, সংলগ্ন পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ আরও ভাল করার দাবি রয়েছে।