ঘোষিত প্রতিশ্রুতির দিন তিনেকের মধ্যেই নবান্ন অভিযানে নিহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার স্ত্রীকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল রাজ্য সরকার। তাঁকে স্পেশ্যাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। যদিও প্রাথমিকভাবে যে কোনও চাকরি নিতে নারাজ ছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু যে চাকরি তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন নিহত ডিওয়াইএফআই কর্মীর স্ত্রী আলেয়া বিবি।
বাঁকুড়ার কোতলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মইদুল ইসলাম মিদ্দা। পেশায় অটো-টোটো চালক। দিনরাত পরিশ্রম করে অটো, টোটো কিনেছিলেন তিনি। সেই গাড়ি চালিয়েই পরিবারের পাঁচ সদস্যের পেট চালাতেন মিদ্দা। সঙ্গে বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যও ছিলেন। পরিবারে রয়েছেন তাঁর মা, স্ত্রী আলেয়া বিবি, দুই সন্তান ও এক ভাগ্নী। মইদুলই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। আপাত শান্তির জীবনে ছেদ টেনে দিয়েছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযান। বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় সেই আন্দোলনে যোগ দিতে এসে প্রাণটাই হারাতে হয়েছে বছর বত্রিশের যুবককে। তাঁকে হারিয়ে কার্যত দিশেহারা পরিবার। এবার চাকরি মেলায় কিছুটা ফিরল স্বস্তি।
মইদুলের মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা কতটা, তা নিয়ে তদন্তের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তাঁর পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে স্বামীহারা আলেয়া বিবির দাবি ছিল, “অল্প পয়সার চাকরি দিলে চলবে না। পরিবারের সদস্যদের প্রতিপালন করার মতো চাকরি দিতে হবে।” সেমতোই তাঁকে পুলিশের হোমগার্ডে চাকরি দেওয়া হল। শুক্রবার জেলাশাসক, এসপি এবং মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা কোতুলপুরে মইদুলের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন নিয়োগপত্র। সবরকমভাবেই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।