শেষমেশ ফলাফল দাঁড়াল আইএসেএলের প্রথম ডার্বির মতোই। প্রথমবারের মোকাবিলায় ২-০ গোলে জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। আর ফিরতি ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারাল হাবাসের ছেলেরা। আবার স্বমহিমায় রয় কৃষ্ণ। একটি গোল করে এবং দুটি গোল করিয়ে ম্যাচের নায়ক স্বভাবতই তিনি। ইস্টবেঙ্গলের প্লে-অফে যাওয়ার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এদিন কার্যত সম্মানের লড়াই ছিল ইস্টবেঙ্গলের। আর তাই আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত দলই নামিয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। অন্যদিকে, লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেতে মরিয়া ছিল এটিকে মোহনবাগানও। কারণ তাহলেই মিলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র। আগের ডার্বির মতো এই ডার্বিতেও বাজিমাতও করলেন হাবাস।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে শুরু করেন রয় কৃষ্ণরা। আর ম্যাচের ১৫ মিনিটেই তার ফল পায় এটিকে মোহনবাগান। দুরন্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণ। তবে এই গোলের জন্য লাল-হলুদ রক্ষণও দায়ী। বিশেষ করে রাজু গায়কোয়াড়। তিরির লং বল রাজুর মাথা টপকে রয় কৃষ্ণ পায়ে এসে পড়ে। তারপরই দ্রুত গতিতে লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের পিছনে ফেলে গোলরক্ষক সুব্রত পালকে কাটিয়ে বল জালে জড়ান ফিজির তারকা ফরোয়ার্ড। এরপরই সবুজ-মেরুন আক্রমণের দাপট আরও বাড়ে। যদিও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগেই গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। রাজুর লম্বা থ্রো ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন তিরি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে কিছুটা হলেও লড়াইয়ে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচের রাশ ফের নিজেদের হাতে তুলে নেয় হাবাসের ছেলেরা। আর প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের রং পালটে দেন সেই কৃষ্ণ। ৭২ মিনিটে তাঁর পাস থেকে সবুজ-মেরুনকে আবার এগিয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। এসসি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ড্যানি ফক্স ভুল করে কৃষ্ণর পায়ে বল জমা করে দেন। তারপর কৃষ্ণ পাস দেন ডেভিডকে। তারপর সেই পাস থেকে সুব্রতকে পরাস্ত করতে গোল করতে কোনো ভুল করেননি ডেভিড।
এরপর ম্যাচের শেষ লগ্নে ৮৮ মিনিটে সেই কৃষ্ণর পাস থেকেই লাল-হলুদের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন জাভি। দুরন্ত হেডে গোলটি করেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার। এরপর ম্যাচের শেষে ঝামেলাতেও জড়াতে দেখা যায় লাল-হলুদের অ্যারন এবং দলের অধিনায়ক ফক্সকে। বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁদের। উল্লেখ্য, এদিনের ম্যাচে কার্যত কোনও লাল-হলুদ খেলোয়াাড়ই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এসসি ইস্টবেঙ্গলের ব্রাইট-স্টেইনম্যান-মাঘোমারা। ভীষণ ম্যাড়মেড়ে ছিল লাল-হলুদ রক্ষণও। যার সুযোগ নিলেই ম্যাচ পকেটে পুরে নিলেন রয় কৃষ্ণ-ডেভিড উইলিয়ামসরা।