বুধবার স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়ার পথে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই ঘটনা ঘটে। রাজ্যের মন্ত্রীর ওপর ঘটনায় শুক্রবার মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করল রাজ্য পুলিশের বম্ব স্কোয়াড। পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি এবং রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ)। কী ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে কী বিস্ফোরক ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা। রিমোট কন্ট্রোল চালিত বোমার যে ‘তত্ত্ব’ উঠে আসছে, আদৌ বিষয়টি ঠিক কি না, তা নিয়েও খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
একদিকে যেমন বোমার খুটিঁনাটি তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু করেছে বম্ব স্কোয়াড, অন্য দিকে, সিআইডি এবং এসটিএফ তদন্ত চালাচ্ছে, কী ভাবে এই হামলা চালানো হল, কারা এই ঘটনায় জড়িত। প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা বোমায় গুরুতর জখন হন মন্ত্রী জাকির এবং আরও ১৪ জন। এই মুহূর্তে এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলছে তাঁদের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জাকিরের হাতের আঙুল এবং বাঁ পা এই বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাকিরকে দেখতে যান। মমতার অভিযোগ, ‘পরিকল্পনা করেই জাকিরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’ তিনটি সংস্থাকে দিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার থেকেই পুরোদমে তদন্তের কাজ শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো।