বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ২৫০-র বেশি আসনে জেতার আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা গিয়েছে আজ শোনা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। আর তারপরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নোংরা আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন তিনি। সবমিলিয়ে, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে যেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বিজেপি শিবির যতবার তাঁকে টার্গেট করছে, তিনি ততবারই পাল্টা আক্রমণ ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আক্রমণ, পাল্টা হানায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার রাজনীতির ময়দান।
পৈলানে এদিন আরও একবার বিজেপি শিবিরকে বিঁধলেন অভিষেক। তিনি এদিন বিজেপি বনাম তৃণমূলের উন্নয়নের পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করলেন। তাঁর দাবি, গত দশ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন, তা দেশের কোনও রাজ্যে হয়নি। একইসঙ্গে তিনি বিজেপি শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, লড়াই হবে তথ্য, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। কোন চ্যানেল কে বসবে, কে আসবে ওরা ঠিক করুক। একদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা থাকবে, অন্যদিকে আমি একা থাকব। বলে বলে ওদের দশ গোল দেব। অর্থাৎ, একুশের নির্বাচনের আগে তিনিই যে তৃণমূল শিবিরের সেনাপতি, তা আজ আরও একবার বুঝিয়েই দিলেন যুব নেতা অভিষেক।
এদিন অভিষেক বলেছেন, ”বিজেপি বলছে, সাত বছরে বাংলাকে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। আমি বলছি, সাত বছরে বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকার কর কেটে নিয়েছে ওরা। সাত বছরের হিসাবে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকে কেটে নিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা দিয়ে এমএলএ, এমপি কিনছে। সেই টাকা কোথায়, কোন খাতে খরচ করেছে তার হিসাব দিতে পারবে! তৃণমূল থেকে নেতা কিনে ‘সুনার বাংলা’ গড়বে বলছে। মানুষকে বোকা ভাবছে। সবাই সব বোঝে।”
এরপর তিনি বলেন, “তৃণমূল থেকে লোভ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে নেতা নিয়ে যাচ্ছে চার্টার্ড বিমানে করে। এদিকে, পুরনো বিজেপি কর্মীরা টোটোও পাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে বলেছিল। ১৫ লাখ তো দূরের কথা, ১৫ টাকাও দেয়নি। আর আগে বাংলায এসে অমিত শাহ বলেছিল, আমরা সব চাষীকে ১৮ হাজার টাকা দেব। আজ আবার কাকদ্বীপে চার লক্ষ মৎস্যজীবীদের টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বলছি, আগে টাকা দিন। তার পর এবার ভোট চাইবেন। বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর মানুষ মেনে নেবে না।”