বঙ্গে ভোটের দামামা প্রায় বেজেই গিয়েছে। শুধু দিন ঘোষণার অপেক্ষাতেই রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এদিকে, রাজ্যে আজ হাইভোল্টেজ প্রচার। জনসভা কিংবা পথসভাতে দুই দলের হেভিওয়েট নেতারা। একদিকে কাকদ্বীপ, নামখানায় বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’ শুভ সূচনায় হাজির রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অপরদিকে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার পৈলানে রাজনৈতিক সভা থেকে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার বানানোর অঙ্গীকার করলেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানালেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, “মাঠে-ময়দানে বুক চিতিয়ে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত আমরা। এ বার ২৫০ আসনেই জিততে হবে। আর যারা বাইরে থেকে এসেছেন ভোটের পর প্লেন ধরে কাউকে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লী ফিরে যেতে হবে। বহিরাগতদের আবার বাইরেই যেতে হবে। যারা বাইরে থেকে আসছে, বাংলা পড়তে জানে না, বলতে পারে না, মঞ্চের পিছনে কী লেখা রয়েছে তা-ও বলার ক্ষমতা নেই। তারাই নাকি ‘সুনার বাংলা’ গড়বে। এই ভাঁওতায় আর বাংলার মানুষ পা দেবেন না।”
এরই সঙ্গে অভিষেক আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের আসনের সংখ্যা ২৫০-তে বেঁধে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক জানিয়েছেন, “২৫০-এর নীচে নামবে না তৃণমূল। তৃতীয় বার হ্যাটট্রিক করে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১-এ ৩১ করতে হবে। এ বারের লড়াই বাংলাকে রক্ষা করার লড়াই, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়।”
এরই পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে তোপ দাগেন অভিষেক। রাজ্যের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড বনাম কেন্দ্রের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ডের তুলনা টেনে অভিষেক জানিয়েছেন, “তোমাদের রিপোর্টকার্ড কোথায়? ৭-৮ বছরে কী করেছে মোদী সরকার? তথ্য পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে লড়াই করে দেখান। ঠিক করুন কোথায়, কোন চ্যানেলে বসবেন। ঠিক করে নিন। এক দিকে বিজেপির নেতা থাকবেন আর এক দিকে আমি। দশ-শূন্যয় হারাব।”