তাঁর কেন্দ্রে সভা। অথচ তিনিই অনুপস্থিত। হ্যাঁ, কোচবিহারে অমিত শাহের সভা মঞ্চে দেখাই গেল না সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। লুকনো রইল না ক্ষোভও। বিজেপির অন্তর্দ্বন্ধটা ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল।
মিহির গোস্বামীর দাবি, দল তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে ঠিক ভাবে কথাবার্তাই বলেনি। যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মিহিরকে চিৎকার করতেও দেখা যায়। পরে বুঝিয়েসুঝিয়ে তাঁকে শাহের মঞ্চের নিয়ে আসেন আয়োজকরা। কিন্তু ততক্ষণে সভা শুরু হয়ে গিয়েছে। মিহির আর মঞ্চে ওঠেননি।
খবর যায় অমিত শাহের কানেও। ক্ষোভ প্রশমনে মাঠে নামেন তিনি। মিহিরকে পাশে রেখেই প্রেস কনফারেন্স করেন অমিত শাহ। তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে চেষ্টার কসুর করেনি শাহ। মিহিরও এই দমচাপা পরিস্থিতির নিষ্পত্তিতে এক পা এগোন। সব মিটে যাওয়ার পর বলেন, একটা কমিউনিকেশান গ্যাপ হয়ে গিয়েছে।
বাংলাদখল করতে চাই উত্তরের মন। সেটা বিলক্ষণ জানেন অমিত শাহ। সেই কারণেই এদিন বলছিলেন, চা শ্রমিকদের বলছি আপনাদের সব সমস্যা এর সমাধান করবে বিজেপি সরকার। শাহ আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে এমন পর্যটন কেন্দ্র করব যাতে দেশ থেকে লোকজন এসে ।কিন্তু শত চেষ্টাতেও তালটা কাটলই। এড়ানো গেল না আদি নব্য সংঘাত। আগামী দিনে এই সংঘাত আর অস্বস্তি এড়ানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির।