বাংলার শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করে রাজ্য দখলের মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি। এদিকে, বাংলার মাটিতে ‘বহিরাগত’দের হম্বিতম্বি আটকাতে তৎপর শাসকদল তৃণমূলও। সব মিলিয়ে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক মহল। আর এরমধ্যেই বাঙালি মনীষীদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। স্বামী বিবেকানন্দর বদলে বলে বসলেন ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’! যেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
গতকাল ফের বাংলা সফরে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মালদহে কৃষকদের সঙ্গে মাঠে বসে খিচুড়ি খাওয়ার সহভোজে অংশ নেওয়া-সহ একাধিক কর্মসূচি ছিল তাঁর। এরপর নবদ্বীপে রওনা হন নাড্ডা। সেখানে চটির মাঠে রথযাত্রা কর্মসূচি উদ্বোধনের আগে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেই সময় মঞ্চে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
নবদ্বীপের পুণ্যভূমিতে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক মনীষীর নাম নিতে থাকেন। আর তখনই হঠাৎ করে স্বামী বিবেকানন্দের পরিবর্তে ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বলে বসেন। তার এই মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। রাতেই সেই বক্তব্যের অংশটি টুইট করে তৃণমূল। এভাবে ভুল নাম বলে বিজেপি কার্যত স্বামী বিবেকানন্দকেই অপমান করেছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
এর আগেও একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার মনীষীদের অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। অমিত শাহের সফরের মাঝে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। আবার সম্প্রতি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠার ঘটনাতেও উঠেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে অপমানের অভিযোগ। সেই তালিকাতেই এবার যুক্ত হল ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’ বিতর্ক। যা ভোটের আগে আরও অস্বস্তি বাড়াল বিজেপি শিবিরে।