সোমবার প্রকাশিত হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট।পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চা শিল্পের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু মোদী সরকারের এই ঘোষণা রাজনৈতিক চমক ছাড়া আর কিছুই নয়, এমনই দাবি করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে বললেন, এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। কুমারগ্রামের জনসভায় যোগ দেবার পর মঙ্গলবার শিলিগুড়ি ফিরে যাবার পথে বিন্নাগুড়িতে এমনটাই জানালেন তিনি।
মঙ্গলবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা জানান, ‘‘এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকার ডুয়ার্সের বন্ধ চা বাগানগুলি অধিগ্রহণ করার কথা ফলাও করে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। এই ঘোষণা ভোটের প্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ভাবে বিজেপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না।’’ কুমারগ্রাম থেকে ফেরার পথে এ দিন সকালে বিন্নাগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ৩১-সি নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তার অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করেন গুরুং। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বিন্নাগুড়ি অঞ্চল আহ্বায়ক বিজয় প্রসাদ, পঞ্চায়েত সদস্য অরুণ রাম, তৃণমূল নেতা পুকার লামা-সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা। উল্লেখ্য, রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছে শাসকদলের। কাজেই এবার তৃণমূল ২০১৬-র চেয়ে বেশি আসন পাবে বলে নিশ্চিত গুরুং।