গত বছর হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে আসনপ্রাপ্তির নিরিখে বিহারে এনডিএ-র বড় শরিকের তকমা হারিয়েছে জেডিইউ। তাদের থেকে বেশি আসন পেয়ে জোটের বড় দল হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। কিন্তু তা সত্ত্বেও পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো নীতিশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়েছেন মোদী-শাহরা।
এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেও জোটে ছোট শরিক হওয়ায় এবার নীতিশকে চলতে হবে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে। ইতিমধ্যে শরিক দলের ওপর ছড়ি ঘোরানো শুরুও করে দিয়েছে তারা। এবার তাই বিজেপিকে নিজের ‘শক্তি’ দেখাতে উঠে পড়ে লেগেছে জেডিইউ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিহারের রাজনীতিতে ঝড় তুলে মিমের বিধায়করা নীতিশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেই জায়গা থেকেই জল্পনা শুরু হয়। বিহার সীমান্তে আরজেডির পোক্ত গড়ে যেখানে দাঁত বসিয়ে ভোট ঘরে তুলেছিল মিম। সেই দলের বিধায়কদের সঙ্গে জেডিইউয়ের নেতা হিসাবে নীতিশের বৈঠক দলবদলের সমীকরণের জল্পনাকে চড়া করেছে।
আবার এরই মধ্যে রবিবার আরএলএসপি নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা দেখা করেন নীতিশের সঙ্গে। বৈঠকের পর কুশওয়াহা সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠক দুই ভাইয়ের মধ্যে হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে মত পার্থক্য থাকলেও উপেন্দ্র কুশওয়াহা নিজেকে নীতিশের ‘ভাই’ বলে বর্ণনা দিয়েছেন। এ নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, বিহারে আরএলএসপি রাজ্যপালের কোটায় এলএমসি আসন পেতে পারে যদি তারা জেডিইউয়ের সঙ্গে হাত মেলায়। আর এই জায়গা থেকেই কুশওয়াহা এনডিএর প্রাক্তন সঙ্গী হিসাবে ফের একবার এনডিএ শিবিরের দিকে এসে জেডিইউকে বেছে নেয় কি না, তা নিয়ে নজর সব মহলের।