দেশজুড়ে এনআরসি করার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সকল দেশবাসীর জন্য এনআরসি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটির পর্যবেক্ষণ, এনপিআর ও জনগণনা ঘিরে জনমানসে ভীতি ও অসন্তোষ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, আসামে এনআরসি লাগু করা নিয়ে উত্তাল হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। অসমে এনআরসি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দানা বাঁধে। এই প্রেক্ষিতে গোটা দেশে এনআরসি করার ক্ষেত্রে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না শাসকদল, অন্তত এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১ জন আবেদনকারীর মধ্যে এনআরসি তালিকায় ঠাঁই পান ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম।
অন্যদিকে, গত লোকসভা নির্বাচনে সংশোধিত নাগরিগত্ব আইন ও এনআরসি ঘিরে সরগরম হয়েছে বাংলার রাজনীতি। সিএএ-এনআরসি ইস্যুর তীব্র বিরোধিতা করে সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। যে নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে কেন্দ্রের শাসকদল। এই প্রেক্ষিতে এনআরসি নিয়ে শাসকদল ঝুঁকি নিতে চাইছে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের একাংশের।