সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ওই রাজ্যগুলিতে রাস্তা করার সংকল্প নিয়েছে কেন্দ্র। বাজেটে এমনই ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামণ। এককথায় বলা যায়, যেখানে ভোট সেখানেই রাস্তা করবে মোদী সরকার।
এদিন সাধারণ বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, ১ হাজার ১ কিমি রাস্তা কেরালায়, ৬০০ কিমি মুম্বই-কন্যাকুমারী করিডোর, বাংলায় ৬৭৫ কিমি, (২৫ হাজার কোটি) কলকাতা-শিলিগুড়ি রাস্তা সংস্কার, তামিলনাড়ু ৩৫০০ কিমি রাস্তা, খড়গপুর থেকে বিজয়ওয়াড়া ফ্রেড করিডোর গড়া হবে। যেখানে বিধানসভা নির্বাচণ, সেখানেই রাস্তা গড়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সেক্ষেত্রেও ব্রাত্য বাংলা। তামিলনাড়ূ, কেরালা ও আসামের তুলনায় বাংলায় রাস্তা নির্মাণে অর্থ ও কিমি কমিয়েছে কেন্দ্র।
লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আবারও ব্রাত্য রয়েছে বাংলা। এমনকি মেট্রো প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি কিংবা নতুন কোনও মেট্রো প্রজেক্টের ঘোষণা করেননি অর্থমন্ত্রী। নতুন প্রযুক্তি মেট্রো রেলে কার্যকর করা হবে। মেট্রো, রেল কিংবা রাস্তায় বরাদ্দ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম ব্যয় হয়েছে রাজ্যের জন্য। যাতে করে ফের একবার কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত চরমে, এবার বাজেটেও।
কোচি মেট্রো ফেজ-২ ১১.৫ কিলোমিটার তৈরি হবে। চেন্নাই মেট্রো ফেজ-২ ১১৮ কিমি তৈরি হবে। বেঙ্গালুরু রেলওয়ে মেট্রো প্রোজেক্ট ৫৮ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে, বলে এদিন জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। এছাড়াও নাগপুর মেট্রো ও নাসিকেও মেট্রোর কাজের প্রস্তাব। ১ লক্ষ ১০ হাজার ৬০ কোটি টাকা রেলওয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। মেট্রো রেলের জন্য নতুন প্রযুক্তি কার্যকর করা হবে। চেন্নাই , বেঙ্গালুরু, নাসিক মেট্রো খাতে খরচ বরাদ্দ প্রস্তাব রাখলেও ব্রাত্য বাংলা। রেলের জন্য জাতীয় রেল প্ল্যান তৈরি হয়েছে, জানালেন সীতারামণ। রেল, বিমানবন্দরের পর এবার বন্দর গুলিকেও বেসরকারিকরণের পথে হাঁটল মোদী সরকার। এদিন সংসদে বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন বড় বন্দর গুলিকে বেসরকারি সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব।