গত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছিল সেই পোস্টার— ‘আমরা দাদার অনুগামী’। ভোটের আগেই এক এক করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ‘স্বঘোষিত’ সেই ‘দাদা’র। তবে ‘দাদা’দের দলত্যাগ কি আদৌ কোনও প্রভাব ফেলেছে তাঁদের ‘অনুগামী’দের মধ্যে? ভোটের আগে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে ঘরে দলীয় পতাকা টাঙানোর কর্মসূচী নিল শাসকদল। ‘আমিও দিদির সৈনিক’ এই কর্মসূচীতে নিজের ঘরে তৃণমূলের পতাকা টাঙানোর পাশাপাশি তিন বন্ধু বা সহযোদ্ধাকেও তাদের বাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা বলে বাংলা জুড়ে জনআন্দোলন করতে চাইছে শাসকদল। কিছুদিন আগে মালদাতে এই কর্মসূচী শুরু হয়েছে। রবিবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় এই কাজ শুরু করল জেলা তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রচার।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী। তবে তা বাড়তেও পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য-ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু মানবাজার এক নম্বর ব্লকের কাদলাগোড়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে দলীয় পতাকা টাঙান। সেইসঙ্গে তাঁর তিন সহযোদ্ধা দলের তিন কো–অর্ডিনেটর পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুষেণ চন্দ্র মাঝি ও মিনু বাউরিকে নিজেদের বাড়িতে দলীয় পতাকা টাঙানোর কথা বলেন। একইভাবে পুরুলিয়া জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা বাঘমুন্ডির পয়েন্টস অফ কনটাক্ট সুশান্ত মাহাতো তাঁর শহর পুরুলিয়ার আমডিহার বাড়িতে পতাকা টাঙান।
এরপর তাঁর তিন সহযোদ্ধা পুরুলিয়া জেলা পরিষেদর জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা সোরেন ও সংগঠনের আরেক জেলা সহ-সভপতি প্রণব দেওঘরিয়াকেও তাদের বাড়িতে পতাকা টাঙানোর কথা বলেন। জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, ‘এই ভাবে জেলা জুড়ে আমরা সমস্ত তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা নিজেদের বাড়িতে দলীয় পতাকা টাঙাবো। আমরা দিদির অনুগামী এই স্লোগানে আমাদের এই কর্মসূচীতে সাধারণ মানুষজনকেও যুক্ত করব। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে জনআন্দোলনের চেহারা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।’