শেষ দু’টি ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নষ্ট। ঠিক এরকম পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার মারগাওয়ের ফাতোরদা স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে নামছে এটিকে মোহন বাগান। গত দু’টি ম্যাচের মধ্যে মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে হার, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ড্র করলেও দ্বিতীয় স্থানেই অবস্থান করছে হাবাসের দল (১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট)। তাই বিন্দুমাত্র চাপে নেই সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ।
বৃহস্পতিবার রক্ষণ জমাট রেখেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নিতে চান হাবাস। অ্যাটাকিং আউটলেটে রয় কৃষ্ণা বড় শক্তি। প্রথম ছ’ম্যাচে তিনি পাঁচ গোল করেছেন। কিন্তু শেষ পাঁচ ম্যাচে ফিজির এই স্ট্রাইকারের লক্ষ্যভেদের সংখ্যা মাত্র এক। কৃষ্ণ লীলার তেজ কমছে কেন? এই প্রসঙ্গে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রশিক্ষক বলেন, ‘ওর ফর্ম নিয়ে আমি চিন্তিত নই। এটাই ফুটবল। পারফরম্যান্সের উত্থান-পতন থাকবেই। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে যাব। প্রতি ম্যাচে তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে এগচ্ছি। তারপর প্লে-অফে খেলা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।’
ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে সবুজ-মেরুন কোচ বলেন, ‘গত দু’টি ম্যাচ আমাদের কাছে অতীত। প্রতিযোগিতায় যে কোনও দল সব ম্যাচ জিততে পারে না। মনে রাখবেন, এফসি গোয়া ও মুম্বই সিটি এফসি লিগের সেরা দু’টি দল। তারা আইএসএল জেতার ক্ষমতা রাখে। এমন দু’টি দলের কাছে পয়েন্ট হারানোয় বিচলিত নই। লিগ টেবিলে আপাতত সেরা দু’টি দলের মধ্যে রয়েছি। ভবিষ্যতে আমাদের দল আরও উন্নতি করবে।’
পরিসংখ্যান বলছে, এবার আইএসএলে এটিকে মোহন বাগান ৮১টি সুযোগ তৈরি করেছে। এরমধ্যে ৩৫টি শট তারা তিন কাঠির মধ্যে রাখতে পেরেছে। গোল পেয়েছে ১১টি। ন’নম্বরে থাকা এসসি ইস্ট বেঙ্গলের গোল সংখ্যাও সমান। সবচেয়ে কম ১০ গোল হজম করেছেন চেন্নাইয়ান এফসি। তারপরেই রয়েছে কলকাতার দু’টি দল। হাবাস আক্রমণ ও রক্ষণের মধ্যে উপযুক্ত ভারসাম্য আনতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘গোল করাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ২৫ গোল খেতে নারাজ। এটা ফুটবল হতে পারে না।’