কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড় দেশ। প্রবল শৈতপ্রবাহ, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে কৃষি আইনের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সদস্যের কমিটি গঠন করে এই আইন পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছে তারা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে খুশি নন কৃষকরা। তাঁদের একটাই কথা, যতদিন না তিনটি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিকেও কোনও রকম সহযোগিতা করতে রাজি নন তাঁরা। কমিটির সদস্যদের ওপর তাঁদের ভরসা নেই বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। কারণ, এই কমিটির চার সদস্যই নাকি কৃষি আইনকে সমর্থন করেছিলেন। তাই তাঁরা কতটা নিরপেক্ষ সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে কৃষকদের।
দেশের শীর্ষ আদালত কমিটি গড়ে দেওয়ার পরে কৃষক সংগঠনগুলি দাবি করেছে, এই কমিটির চার সদস্যই সরকারের ঘনিষ্ঠ। তাঁরা আগেও এই কৃষি আইনের সমর্থন করেছিলেন। তাই তাঁদের উপর ভরসা নেই কৃষকদের। আর ঠিক সেই কারণেই কমিটিকে সাহায্যও করতে চান না তাঁরা। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কৃষক আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্য, ‘আমরা আগেই জানতাম নিজের ঘাড় থেকে দায় সরাবার জন্য সুপ্রিম কোর্ট একটা কমিটি গঠন করবে। তাই আগের দিন রাতেই আমরা জানিয়েছিলাম, কোনও কমিটির সঙ্গে আমরা কথা বলব না। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে তার সদস্যরা হলেন, কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, শ্বেতক্ষারি সংঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ভুপিন্দর সিং মান, এবং আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি বিশেষজ্ঞ প্রমোদ কুমার যোশী। দেশের শীর্ষ আদালত কমিটিকে জানিয়েছে, সব দিক