গাব্বায় আসন্ন সিরিজের শেষ টেস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। প্রথম থেকেই ব্রিসবেন টেস্ট নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছিল বিসিসিআই। কঠোর নিভৃতবাস বিধির পুরোপুরি বিপক্ষে ছিল তারা। এদিকে করোনার প্রকোপ মাথাচাড়া দেওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওপর চাপও বাড়তে থাকে। তবে শেষমেশ কোনোক্রমে বিসিসিআইকে রাজি করায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এখানেই থেমে নেই জট। ফের বাড়ল বিতর্ক।
সিডনিতে তৃতীয় টেস্ট ড্র করার পর মঙ্গলবার চতুর্থ টেস্ট খেলতে ব্রিসবেন পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া।
কিন্তু সেখানে নয়া সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় দল। হোটেলে রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানেদের সবকিছু নিজেদের করতে হচ্ছে। এমনকী শৌচাগারও নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের সূত্রে খবর মিলেছে এমনই। বিরক্তির বশে জেলখানার সঙ্গে হোটেলের তুলনা করেছেন রোহিতরা। এবিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, অবস্থা এতটাই জটিল যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সদ্য হাসপাতাল থেকে ফেরা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে এই ইস্যুতে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দলের এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা ঘরে বন্দী হয়ে রয়েছি। আমাদের নিজেদেরই সব কাজ করতে হচ্ছে। শৌচাগার পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে বিছানা পরিষ্কার, সব আমরা করছি। কাছাকাছি একটা ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আসছে। সেটা আমরা যে ফ্লোরে রয়েছি, সেখানে দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফ্লোরের বাইরে আমাদের বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, জেলে আছি আমরা।’’ প্রকাশিত খবর অনুয়াযী, গোটা হোটেল ফাঁকা থাকলেও ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না তাঁরা। বন্ধ করে রাখা রয়েছে জিম, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং সুইমিং পুলও।
ভারতীয় দলের আরও অভিযোগ, স্টেডিয়াম থেকে চার কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে তাদের। এই সবকিছু নিয়েই বেজায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় দলের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে, দলের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রথমে তার কোনও সমাধান মেলেনি। হোটেলের তরফে বলা হয়, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া, দুই দলের জন্যই একই নিয়ম রয়েছে। কোনও একটি দলকে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানতে হচ্ছে, বিষয়টা এরকম নয়। পিটিআই জানিয়েছে, নিরুপায় হয়ে কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিষয়টির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি, বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং বোর্ডের সিইও হেমাঙ্গ আমিন নিয়মিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও ভারতীয় দলের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখবে অস্ট্রেলীয় বোর্ড, এমনই আশ্বাস দিয়েছে তারা।