নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় কুইন্সল্যান্ড সরকার।ভারতের জন্যে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন করা হবে না, সাফ জানিয়ে দিল তারা। যদি তাতে ভারত নাও খেলতে চায়, তাহলেও সমস্যা নেই তাদের, সূত্র অনুযায়ী খবর মিলেছে এমনটাই।
অতিমারী আবহের কারণে এই মুহূর্তে কড়া লকডাউন চলছে কুইন্সল্যান্ডে। সাধারণ মানুষের বেরোনোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেখানেই ব্রিসবেনের গাব্বাতে ১৫ই জানুয়ারি থেকে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের চতুর্থ টেস্ট খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ভারতের দাবি, দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয় এবং কোয়ারান্টাইনে থেকেছে তারা। তাই ফের একবার কোয়ারান্টাইন ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলবে, দাবি তাদের।
এপ্রসঙ্গে রবিবার কুইন্সল্যান্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জেনেট ইয়ং জানিয়ে দেন, ভারতের জন্যে আলাদা করে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, “আমরা নিষেধাজ্ঞা সরাচ্ছি না। কারওর জন্যেই কোনও ছাড় নেই। নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গা থেকে এলে কোয়ারান্টিনে থাকতেই হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচিত প্লেয়ারদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা।” সিডনি থেকে এই মুহূর্তে কুইন্সল্যান্ডে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়াকে ইতিমধ্যেই কোয়ারান্টাইন সংক্রান্ত বিধি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সে রকম কিছু পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র খেলা এবং ট্রেনিংয়ের জন্যেই হোটেল ছেড়ে বেরনো যাবে।
এমতাবস্থায় সিডনিতেই হয়তো সিরিজের শেষ দুটি টেস্ট আয়োজন করতে হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। তবে শেষ মুহূর্তে সেখানকার সরকার বা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত বদল করলে হয়তো টেস্ট হতে পারে ব্রিসবেনেই।